ভিসা: কী, ইতিহাস ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
ভিসা হলো একটি আনুষ্ঠানিক অনুমতি যা একটি নির্দিষ্ট দেশের সরকার বিদেশি নাগরিকদের তাদের দেশে প্রবেশ, অবস্থান বা নির্দিষ্ট কার্যকলাপ পরিচালনার অনুমতি দেয়। এটি সাধারণত পাসপোর্টের সঙ্গে যুক্ত থাকে এবং বিভিন্ন ধরণের হতে পারে, যেমন—ট্যুরিস্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা ইত্যাদি।
ভিসার ইতিহাস: কবে থেকে প্রচলন শুরু?
ভিসার ধারণা প্রাচীনকাল থেকেই বিদ্যমান। অনুমান করা হয়, আনুষ্ঠানিক ভিসা ব্যবস্থার শুরু হয় রোমান সাম্রাজ্যের সময় থেকে। তবে আধুনিক ভিসা ব্যবস্থার বিকাশ ঘটে ১৯২০ সালের দিকে, যখন বিভিন্ন দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ভিসা ব্যবস্থার কড়াকড়ি আরও বেড়ে যায়, বিশেষ করে নিরাপত্তার কারণে।ভিসা করতে কী কী ডকুমেন্টস প্রয়োজন?
ভিসার ধরন ও দেশের নীতির ওপর নির্ভর করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভিন্ন হতে পারে। তবে সাধারণত যেসব ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়:
1. পাসপোর্ট – বৈধ পাসপোর্ট, যা ভিসার মেয়াদের জন্য উপযুক্ত হবে।
2. ভিসা আবেদন ফর্ম – নির্দিষ্ট দেশের দূতাবাস বা কনস্যুলেটের নির্ধারিত ফর্ম।
3. ছবি – নির্দিষ্ট সাইজ ও ব্যাকগ্রাউন্ডের সাম্প্রতিক ছবি।
4. ব্যাংক স্টেটমেন্ট – অর্থনৈতিক সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে সাধারণত শেষ ৩-৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগে।
5. ইনভাইটেশন লেটার – কেউ আমন্ত্রণ জানালে তার চিঠি দরকার হতে পারে।
6. ফ্লাইট ও হোটেল বুকিং – যাতায়াত ও থাকার প্রমাণ দিতে হতে পারে।
7. ভ্রমণের উদ্দেশ্যের বিবরণ – ভ্রমণ পরিকল্পনা বা উদ্দেশ্য সম্পর্কিত নথি।
8. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট – কিছু দেশের জন্য নিরাপত্তা যাচাই প্রয়োজন হতে পারে।
9. হেলথ ইনস্যুরেন্স – মেডিকেল কভারেজের জন্য বাধ্যতামূলক হতে পারে।