Type Here to Get Search Results !

জার্মানির ওয়ার্ক পারমিট ভিসা: আবেদন, প্রক্রিয়া ও নিয়মাবলী (২০২৫)

জার্মানির ওয়ার্ক পারমিট ভিসা: আবেদন, প্রক্রিয়া ও নিয়মাবলী (২০২৫)

জার্মানির-ওয়ার্ক-পারমিট-ভিসা-আবেদন-প্রক্রিয়া-ও-নিয়মাবলী-২০২৫
                              বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন
ভূমিকা:

জার্মানি
ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। Skilled Worker, IT, Engineering, Hospitality, Health Care সহ বিভিন্ন খাতে বিশাল কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ থেকে অনেকেই জার্মানিতে চাকরি করতে আগ্রহী।
এশিয়ার অন্তর্গত বাংলাদেশ এবং ইউরোপের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ জার্মানির মাঝে প্রায় ৭,২৮৭ কিলোমিটার দূরত্ব রয়েছে। দুই মহাদেশের দুই প্রান্তে অবস্থিত হলেও এই দুটি দেশের মাঝে যোগাযোগ ও সম্পর্ক প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে।
এই কনটেন্টে আমরা জানবো জার্মানির ওয়ার্ক পারমিট ভিসা: আবেদন, প্রক্রিয়া ও নিয়মাবলী (২০২৫)

💚জার্মান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কী?

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হল এমন একটি রেসিডেন্স ভিসা যা বিদেশিদের জার্মানিতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাজ করার অনুমতি দেয়। এটি National D-Type Visa বা Long Stay Employment Visa নামেও পরিচিত।

💚জার্মান ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ধরণ

1. Skilled Worker Visa (বিশেষজ্ঞদের জন্য – যেমন: ইঞ্জিনিয়ার, আইটি প্রফেশনাল)

2. Blue Card EU (উচ্চ বেতনের চাকরির ক্ষেত্রে)

3. Job Seeker Visa (চাকরি খোঁজার উদ্দেশ্যে – ৬ মাসের জন্য)

4. Seasonal Work Visa (সিজনাল বা অস্থায়ী শ্রমিকদের জন্য)

5. Vocational Training Visa (প্রশিক্ষণ ভিত্তিক চাকরির জন্য)

💚আবেদন, প্রক্রিয়া ও নিয়মাবলী (Step-by-Step)

১. চাকরি নিশ্চিত করুন বা জব অফার সংগ্রহ করুন

জার্মান কোম্পানির কাছ থেকে লিখিত জব কন্ট্রাক্ট/অফার লেটার থাকতে হবে।
প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নিয়োগদাতার ZAV (German Federal Employment Agency) অনুমোদন থাকতে পারে।

২. অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ করুন (VIDEX):

https://videx.diplo.de/ থেকে আবেদন ফর্ম পূরণ করে প্রিন্ট করে সই করতে হবে।

৩. অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং (VFS Global):

VFS Germany এর ওয়েবসাইট থেকে আবেদন জমা দেয়ার জন্য সময় বুক করতে হবে।

৪. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত করুন:

নিচের কাগজপত্রগুলো আবেদন ফাইলে থাকতে হবে:
আবেদন ফর্ম (VIDEX ফর্ম)
বৈধ পাসপোর্ট (৬ মাসের বেশি মেয়াদ)
২টি বায়োমেট্রিক ছবি
চাকরির অফার লেটার/কন্ট্রাক্ট
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট (German বা English অনুবাদ)
অভিজ্ঞতার সনদ (যদি থাকে)
প্রফেশন অনুযায়ী ZAB রিকগনিশন (বিশেষ করে দক্ষ পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে)
ব্লক অ্যাকাউন্ট বা স্পনসরশিপ প্রমাণ (Job Seeker Visa হলে)
স্বাস্থ্য বীমা (যা জার্মানিতে প্রযোজ্য)
কভার লেটার ও সিভি

৫. ফি প্রদান ও বায়োমেট্রিক:

আবেদন ফি সাধারণত ৭৫ ইউরো (প্রায় ৯,৮০০ টাকা)
আবেদন জমা দেয়ার সময় বায়োমেট্রিক (ছবি ও আঙুলের ছাপ) দিতে হবে।

৬. আবেদন প্রসেসিং ও রেজাল্ট:

সাধারণত ৪-৮ সপ্তাহ সময় লাগে (পদের ধরণ ও কাগজপত্র অনুযায়ী)

ভিসা প্রাপ্তির পর করণীয়

জার্মানিতে পৌঁছার পর আবাসিক নিবন্ধন (Anmeldung) করতে হবে।
বাসস্থান চুক্তি (rental agreement) এবং স্বাস্থ্যবীমা দরকার হবে।
তারপর স্থানীয় Foreigner’s Office (Ausländerbehörde) থেকে Residence Permit নিতে হবে।

কেন জার্মানিতে কাজ করবেন?

উচ্চ বেতন ও আন্তর্জাতিক মানের কাজের পরিবেশ
EU ব্লকে অন্যান্য দেশে কাজের সুযোগ
স্থায়ী বসবাস (PR) পাওয়ার পথ সহজ
পরিবার নিয়ে বসবাসের সুযোগ (Family Reunion Visa)

VFS Global – জার্মান ওয়ার্ক ভিসা অফিস (ঢাকা)
ঠিকানা: Plot 76, Road 11, Block M, Banani, Dhaka 1213
ওয়েবসাইট: https://visa.vfsglobal.com/bgd/en/deu

উপসংহার

জার্মানিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন
সফল করতে হলে যথাযথ প্রস্তুতি ও ডকুমেন্টেশন অপরিহার্য। আপনার দক্ষতা অনুযায়ী সঠিক ভিসা নির্বাচন ও সময়মতো আবেদনই আপনাকে ইউরোপের অন্যতম উন্নত দেশে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ করে দিতে পারে।

💙আরো তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.