Type Here to Get Search Results !

#Advertisement

যৌন রোগের প্রকারভেদ, উপসর্গ ও চিকিৎসা

যৌন রোগের প্রকারভেদ, উপসর্গ ও চিকিৎসা | STD সম্পূর্ণ গাইড

যৌন রোগের প্রকারভেদ ও চিকিৎসা

যৌন রোগ কী?

যৌন রোগের বা এসটিডি হলো এমন সংক্রমণ রোগ, কেবল যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির মধ্যে ছড়িয়ে যায়। রোগগুলো ব্যাকটেরিয়া,ভাইরাস,প্যারাসাইট দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না হলে এসব রোগ থেকে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যৌন রোগের প্রধান প্রকারভেদ

  1. গনোরিয়া (Gonorrhea)

    নাইসেরিয়া গনোরিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত। উপসর্গের মধ্যে রয়েছে প্রস্রাবে জ্বালা, পুরুষের ক্ষেত্রে পুঁজ নির্গমন, নারীর ক্ষেত্রে যোনি থেকে স্রাব।

    চিকিৎসা:

    অ্যান্টিবায়োটিক যেমন সেফট্রিয়াক্সোন ইনজেকশন ও অ্যাজিথ্রোমাইসিন ব্যবহৃত হয়।

  2. সিফিলিস (Syphilis)

    ট্রেপোনেমা প্যালিডাম ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট। প্রাথমিকভাবে গোপনাঙ্গে ব্যথাহীন ঘা, পরে চামড়ায় র‌্যাশ ও স্নায়বিক সমস্যা দেখা দেয়।

    চিকিৎসা:

    প্রাথমিক অবস্থায় পেনিসিলিন ইনজেকশন সবচেয়ে কার্যকর।

  3. এইচআইভি/এইডস (HIV/AIDS)

    মানুষের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পূর্ন ধ্বংস করে দেয়। এইচআইভিতে সংক্রমিত হওয়ার পর বহু বছর উপসর্গ গুলো দেখা দিতে নাও পারে।

    চিকিৎসা:

    স্থায়ীভাবে কোন চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। কিন্তু ART দ্বারা বা Antiretroviral Therapy দ্বারা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতেপারে।

  4. জেনিটাল হার্পিস (Genital Herpes)

    HSV বা হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস দিয়ে সংক্রমিত হয়। ফুসকুড়ি, জ্বালা, ব্যথা ও চুলকানি হয়।

    চিকিৎসা:

    অ্যাসাইক্লোভির, ফ্যামসাইক্লোভির বা ভালাসাইক্লোভির নামক অ্যান্টিভাইরাল ব্যবহৃত হয়।

  5. ক্ল্যামিডিয়া (Chlamydia)

    ক্ল্যামিডিয়া ট্রাকোমাটিস নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট। প্রায়শই উপসর্গহীন থাকে। untreated থাকলে বন্ধ্যত্ব পর্যন্ত হতে পারে।

    চিকিৎসা:

    অ্যাজিথ্রোমাইসিন বা ডক্সিসাইক্লিন নামক অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয়।

  6. এইচপিভি (HPV)

    এই ভাইরাস যৌনাঙ্গে আঁচিল এবং নারীদের ক্ষেত্রে সার্ভিকাল ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।

    চিকিৎসা:

    অঁাচিল দূর করার চিকিৎসা এবং প্রতিরোধমূলক HPV ভ্যাকসিন ব্যবহৃত হয়।

  7. ট্রিকোমোনিয়াসিস (Trichomoniasis)

    ট্রিকোমোনাস ভ্যাজিনালিস নামক প্যারাসাইট দ্বারা সৃষ্ট। নারীদের ক্ষেত্রে যোনি থেকে দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, চুলকানি ও জ্বালা হতে পারে।

    চিকিৎসা:

    মেট্রোনিডাজল বা টিনিডাজল ব্যবহৃত হয়।

যৌন রোগ প্রতিরোধে করণীয়

  • সুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক বজায় রাখা (নিয়মিত কনডম ব্যবহার)
  • একাধিক যৌন সঙ্গী এড়ানো
  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও STD টেস্ট
  • এইচআইভি ও HPV এর জন্য ভ্যাকসিন গ্রহণ
  • সন্দেহ হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া

সচরাচর জিজ্ঞাস্য (FAQ)

STD কি সারে?
বেশিরভাগ ব্যাকটেরিয়াজনিত যৌন রোগ অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে সারে। তবে ভাইরাসজনিত রোগগুলো শুধু নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
STD কাদের বেশি হয়?
যারা একাধিক যৌন সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন বা কনডম ব্যবহার করেন না, তাদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি।
STD কি গর্ভধারণে প্রভাব ফেলে?
হ্যাঁ, অনেক যৌন রোগ নারীদের বন্ধ্যত্ব বা গর্ভপাত ঘটাতে পারে।
STD কীভাবে নির্ণয় করা যায়?
রক্ত, প্রস্রাব, কিংবা আক্রান্ত স্থানের স্যাম্পল টেস্ট করে নির্ণয় করা যায়।
STD প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় কী?
সুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক, নিয়মিত টেস্ট এবং ভ্যাকসিনেশনই সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

© ২০২৫ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্লগ | যাত্রীসেবা নিউজ,সকল স্বত্ব সংরক্ষিত