Type Here to Get Search Results !

#Advertisement

ফ্রান্সে ফ্যামিলি সহ স্থায়ী বসবাস | আবেদন ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

ফ্রান্সে-ফ্যামিলি-সহ-স্থায়ী-বসবাস-আবেদন-ও-প্রয়োজনীয়-ডকুমেন্টস

ফ্রান্সে ফ্যামিলি সহ স্থায়ীভাবে বসবাস: আবেদন পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

ফ্রান্স ইউরোপের মধ্যে অন্যতম উন্নত ও আধুনিক একটি দেশ যেখানে প্রতি বছর হাজারো মানুষ স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করেন। অনেকেই কাজ, শিক্ষা কিংবা ব্যবসার উদ্দেশ্যে প্রথমে ফ্রান্সে যান এবং পরে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান। ফ্রান্সে ফ্যামিলি সহ স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম, আবেদন প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্টসের প্রয়োজন হয়। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই।

 💚 ফ্রান্সে ফ্যামিলি সহ স্থায়ীভাবে থাকার মাধ্যম গুলো কি?

ফ্রান্সে পরিবারসহ স্থায়ীভাবে থাকার জন্য সাধারণত নিচের ক্যাটাগরিগুলোর মাধ্যমে আবেদন করা যায়:যেমন-

1. ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশন ভিসা (Visa de regroupement familial)

আপনি যদি ফ্রান্সে বৈধভাবে বসবাস করেন এবং সেখানে কমপক্ষে ১৮ মাস ধরে থাকেন, তাহলে আপনার স্ত্রী/স্বামী ও সন্তানদের ফ্রান্সে নিয়ে আসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

2. পারমানেন্ট রেসিডেন্স পারমিট (Carte de résident)

আপনি যদি ৫ বছর ধরে ফ্রান্সে বৈধভাবে বসবাস করে থাকেন, তাহলে ফ্যামিলি সহ স্থায়ী রেসিডেন্স পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

3. EU নাগরিকের পরিবারের সদস্য হিসেবে (Membre de famille d’un citoyen de l’Union Européenne)

যদি আপনার পরিবারে কেউ EU নাগরিক হন, তাহলে ফ্রান্সে স্থায়ীভাবে বসবাস আরো সহজতর হয়।

💚 আবেদন করার জন্য প্রাথমিক শর্তাবলি

* আবেদনকারীকে অবশ্যই ফ্রান্সে বৈধভাবে কমপক্ষে ১৮ মাস বসবাস করতে হবে (ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশনের ক্ষেত্রে)।

* তবে যদি স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্যে ফ্যামিলিদের নিয়ে আসতে চান তাহলে অবশ্যই ৫ বছর অবস্থান করতে হবে এবং বৈধভাবে। 

* পর্যাপ্ত অর্থনৈতিক সামর্থ্য অবশ্যই থাকতে হবে যাতে পরিবারকে ফ্রান্সে সাপোর্ট করতে পারেন।

* উপযুক্ত বাসস্থান থাকতে হবে যা পরিবারের সদস্যদের জন্য যথেষ্ট হয়।

* পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বৈধ সম্পর্কের প্রমাণ অবশ্যই থাকতে হবে । যেমন-(বিয়ের সনদ, জন্ম সনদ ইত্যাদি)।

💚 আরো যা যা প্রয়োজন হবে। 

* পাসপোর্টের কপি ও রেসিডেন্স পারমিট (titre de séjour)

* বাসার কাগজপত্র (ভাড়া চুক্তি বা মালিকানার দলিল)

* সর্বশেষ ৩-৬ মাসের আয় সংক্রান্ত প্রমাণ (পে স্লিপ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ট্যাক্স ডকুমেন্ট)

* বাসার আয়তনের প্রমাণ (স্থানীয় মিউনিসিপ্যাল সার্টিফিকেট)

* স্বাস্থ্য বীমার প্রমাণ (যদি না থাকেন তবে পরিবার সদস্যদের জন্য ইনস্যুরেন্স নিতে হবে)

💚 পরিবারের সদস্যদের পক্ষে:

* বৈধ পাসপোর্ট

* বিয়ের সনদপত্র থাকতে হবে (স্বামী/স্ত্রীর জন্য)

* সন্তানের বয়স ১৮ বছরের নীচে হলে জন্ম সনদ অবশ্যই লাগবে। ১৮ বছরের উপড়ে হলে আই,ডি কার্ড অবশ্যই লাগবে। 

* পুলিশের ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (প্রয়োজনে)

* মেডিকেল সার্টিফিকেট

* ফরাসি ভাষায় অনুবাদ করা ডকুমেন্টস লাগবে (সরকারি অনুবাদকারী দ্বারা)

* ফ্রেঞ্চ দূতাবাস বা কনস্যুলেট থেকে ভিসার জন্য আবেদনপত্র লাগবে। 

বি.দ্র. প্রতিটি কাগজপত্র অবশ্যই ফরাসি ভাষায় অনুবাদ করতে হবে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অ্যাপোস্টিল সার্টিফাইড হতে হবে।

💚 আবেদন করার ধাপ সমূহ 

1. OFII (Office Français de l’Immigration et de l’Intégration)-তে আবেদন

প্রথমে OFII-এর মাধ্যমে ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশন আবেদন করতে হবে। আবেদনটি ফ্রান্সে জমা দিতে হবে, এবং এটি যাচাই করে OFII পরিবারকে ফ্রান্সে আসার অনুমতি দেয়।

2. ফ্রেঞ্চ দূতাবাসে ভিসার আবেদন

 OFII অনুমোদন দিলে পরিবারের সদস্যরা নিজ নিজ দেশে ফ্রেঞ্চ দূতাবাসে গিয়ে ভিসার আবেদন করবেন।

3. ভিসা অনুমোদন ও ফ্রান্সে আগমন

ভিসা পেলে পরিবারের সদস্যরা ফ্রান্সে আসতে পারবেন এবং পরবর্তীতে রেসিডেন্স পারমিট পাবেন।

4. রেসিডেন্স পারমিট নবায়ন ও স্থায়ী করার সুযোগ

 নির্দিষ্ট সময় পর কার্ড নবায়ন করে দীর্ঘমেয়াদি বা স্থায়ী বসবাসের কার্ড পাওয়া যাবে।

💙 ফ্রান্সে পরিবারসহ স্থায়ী বসবাসের সুবিধা

* সন্তানদের জন্য ফ্রি শিক্ষা ও শিশু সেবা সুবিধা

* উন্নত স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা

* বাসস্থান ভাতা ও সামাজিক সেবা সুবিধা

* পরবর্তীতে নাগরিকত্বের সুযোগ সুবিধা

* EU-র অন্যান্য দেশে সহজে ভ্রমণের সুবিধা

💚 গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

* সব ডকুমেন্ট নির্ভুলভাবে ও সময়মতো প্রস্তুত রাখুন

* ফরাসি ভাষায় অনুবাদ করতে অবশ্যই ভুলবেন না

* ফ্রান্সে থাকা অবস্থায় কর এবং আইনগত বিষয় মেনে চলতে হবে

* প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট বা আইনজীবীর পরামর্শ নিতে পারেন। 

উপসংহার

ফ্রান্সে ফ্যামিলি সহ স্থায়ীভাবে বসবাসের প্রক্রিয়াটি হয়তো শুরুতে একটু জটিল মনে হতে পারে, তবে সঠিক প্রস্তুতি ও তথ্য জানলে খুবই সহজভাবে সম্পন্ন করা যায়। ফ্রান্স সরকার পরিবার নিয়ে বসবাসের ক্ষেত্রে মানবিক ও সামাজিক দিকটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে, তাই নিয়ম মেনে আবেদন করলে ইতিবাচক ফল পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

কুয়েত এমপ্লয়মেন্ট ভিসা প্রক্রিয়া ২০২৫: আপনার যা জানা দরকারসৌদি আরবের বিশ্বমানের শিক্ষাকেন্দ্র: জ্ঞান অন্বেষণের এক নতুন দিগন্তজার্মানিতে যে ১০টি কোর্স পড়লে চাকরির অভাব হবে না!