পর্তুগাল ট্যুরিস্ট ভিসা ২০২৫ | বাংলাদেশিদের জন্য আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও ডকুমেন্টস
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রাচীন ইতিহাস, আর ইউরোপীয় আধুনিকতা মিলিয়ে পর্তুগাল এখন অনেক বাংলাদেশি ভ্রমণপ্রেমীর স্বপ্নের গন্তব্য।বিশেষ করে যারা ইউরোপ সফরের শুরুটা করতে চান, তাদের জন্য পর্তুগাল হতে পারে সেরা চয়েজ।
তবে ইউরোপ মানেই কঠিন ভিসা, এটা অনেকের মনেই একটা ভয়। আসলে যদি সঠিকভাবে আবেদন করেন, তাহলে পর্তুগাল ট্যুরিস্ট ভিসা পাওয়া মোটেও কঠিন নয়।
এই আর্টিকেলে আপনি জানবেন – ভিসা পেতে কী কী দরকার, খরচ কত, কোথায় আবেদন করবেন, ইন্টারভিউ কেমন হয় – সবকিছু বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে।
🌍 কেন যাবেন পর্তুগাল?
পর্তুগাল শুধু সমুদ্র আর সূর্য নয়, এখানে আপনি পাবেন—* ইতিহাস আর ঐতিহ্যের শহর: Lisbon, Porto
* অসাধারণ সমুদ্র সৈকত: Algarve
* পাহাড়ি গ্রাম আর সুন্দর গ্রাম্য পরিবেশ
* UNESCO World Heritage Sites
* আর সবচেয়ে বড় কথা, পর্তুগালের মানুষ খুবই বন্ধুবান্ধব, অতিথিপরায়ণ এবং পর্যটকবান্ধব।
📝 পর্তুগাল ভিসা প্রকারভেদ (বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য)
পর্তুগাল Schengen অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। তাই আপনি যদি পর্তুগালে ঘুরতে যেতে চান, তাহলে আপনাকে Schengen Tourist Visa (Short Stay Type-C) এর জন্য আবেদন করতে হবে।| বিষয় | বিবরণ |
| ------------ | -------------------------- |
| ভিসা ধরন | Schengen Type-C (Tourist) |
| মেয়াদ | সর্বোচ্চ ৯০ দিন (৩ মাস) |
| এন্ট্রি টাইপ | সিঙ্গেল / মাল্টিপল |
| আবেদন সময় | ভ্রমণের কমপক্ষে ১৫ দিন আগে |
| প্রক্রিয়াকাল | সাধারণত ১৫-৩০ কার্যদিবস |
✅ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস তালিকা
আপনার ভিসা আবেদনের সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করে ডকুমেন্টসের উপর। নিচে দেওয়া হলো পর্তুগাল ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা:🔹 পার্সোনাল ডকুমেন্টস:
1. **পাসপোর্ট (কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদী)**
2. **২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে)**
3. **জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ**
4. **ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট (Covid-19)**
🔹 ফিন্যান্সিয়াল ডকুমেন্টস:
5. **ব্যাংক স্টেটমেন্ট (শেষ ৬ মাসের)**
6. **সেলারি স্লিপ / ব্যবসার আয় বিবরণী**
7. **ট্যাক্স রিটার্ন কপি (যদি থাকে)**
🔹 ট্রাভেল ডকুমেন্টস:
8. **ফ্লাইট বুকিং (রিটার্নসহ)**
9. **হোটেল রিজার্ভেশন (পুরো ভ্রমণ সময়কাল)**
10. **ভ্রমণ ইন্স্যুরেন্স (৩০,০০০ ইউরো কাভারেজ সহ)**
🔹 অন্যান্য:
11. **ভিসা আবেদন ফর্ম (অনলাইনে পূরণ করে প্রিন্ট করুন)**
12. **কভার লেটার (কেন ভ্রমণে যাচ্ছেন তা উল্লেখ করুন)**
13. **প্রুফ অব প্রফেশন (চাকরিজীবীদের NOC, ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স)**
> 🎯 টিপ: ডকুমেন্টস যত পরিপাটি, নির্ভরযোগ্য ও বাস্তবসম্মত হবে, ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি।
💻 আবেদন করার পদ্ধতি
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল ট্যুরিস্ট ভিসার আবেদন করতে হলে আপনাকে VFS Global এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।### ধাপ-ধাপে আবেদন পদ্ধতি:
1. 👉 ভিজিট করুন: [https://visa.vfsglobal.com/bgd/en/prt](https://visa.vfsglobal.com/bgd/en/prt)
2. **একাউন্ট খুলুন ও অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করুন
3. **অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ করুন (Schengen Visa Form)
4. **সকল ডকুমেন্টস ও ফর্ম প্রিন্ট করে রাখুন
5. **অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিনে নির্ধারিত VFS সেন্টারে গিয়ে বায়োমেট্রিক দিন
6. **সাধারণত ২-৪ সপ্তাহের মধ্যে রেজাল্ট পাওয়া যায়
💰 পর্তুগাল ট্যুরিস্ট ভিসা ফি ও অন্যান্য খরচ
ভিসা ফি (শেনজেন) ৮০ ইউরো (প্রায় ১০,০০০ টাকা)
VFS সার্ভিস চার্জ ২৫-৩০ ইউরো
ভ্রমণ ইনস্যুরেন্স ১৫-২০ ইউরো (কমপক্ষে ৩০,০০০ ইউরো কাভারেজ)
ফ্লাইট বুকিং গন্তব্য ও সিজনের উপর নির্ভরশীল
হোটেল রিজার্ভেশন ১৫-৫০ ইউরো/নাইট |
VFS সার্ভিস চার্জ ২৫-৩০ ইউরো
ভ্রমণ ইনস্যুরেন্স ১৫-২০ ইউরো (কমপক্ষে ৩০,০০০ ইউরো কাভারেজ)
ফ্লাইট বুকিং গন্তব্য ও সিজনের উপর নির্ভরশীল
হোটেল রিজার্ভেশন ১৫-৫০ ইউরো/নাইট |
> 💡 সব মিলিয়ে আপনি ২০,০০০–২৫,০০০ টাকার মতো খরচ ধরতে পারেন শুধুমাত্র আবেদন ও প্রস্তুতির জন্য।
**Lisbon এর রাস্তাঘাট ছিল পরিচ্ছন্ন আর মানুষের ব্যবহার খুব বন্ধুত্বপূর্ণ।
**Sintra নামের শহরটা ছিল আমার প্রিয়। ইতিহাসপ্রেমীদের জন্য এই শহর যেন এক টুকরো স্বর্গ।
ভিসা আবেদন করার সময় সবচেয়ে বড় যে বিষয়টা আমাকে সাহায্য করেছে, তা হলো — **একটি নির্ভরযোগ্য কভার লেটার ও ক্লিয়ার ফিন্যান্সিয়াল ডকুমেন্ট।
যদি আপনি নিজের ব্যয়ের সামর্থ্য প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে আপনার সুযোগ অনেক বেড়ে যায়।
* ঠিকানা: Delta Life Tower, Plot 37, Road 90, Gulshan 2
* ফোন: +880 2 9899381
* অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: [https://www.vfsglobal.com](https://www.vfsglobal.com)
🌟 ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে পরামর্শ
আমি ২০২২ সালে পর্তুগাল ভ্রমণে গিয়েছিলাম। আমার অভিজ্ঞতা ছিল দারুণ।**Lisbon এর রাস্তাঘাট ছিল পরিচ্ছন্ন আর মানুষের ব্যবহার খুব বন্ধুত্বপূর্ণ।
**Sintra নামের শহরটা ছিল আমার প্রিয়। ইতিহাসপ্রেমীদের জন্য এই শহর যেন এক টুকরো স্বর্গ।
ভিসা আবেদন করার সময় সবচেয়ে বড় যে বিষয়টা আমাকে সাহায্য করেছে, তা হলো — **একটি নির্ভরযোগ্য কভার লেটার ও ক্লিয়ার ফিন্যান্সিয়াল ডকুমেন্ট।
যদি আপনি নিজের ব্যয়ের সামর্থ্য প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে আপনার সুযোগ অনেক বেড়ে যায়।
📍 ভিসা আবেদন কেন্দ্র (VFS) – বাংলাদেশ
**VFS Global – Dhaka Visa Application Centre* ঠিকানা: Delta Life Tower, Plot 37, Road 90, Gulshan 2
* ফোন: +880 2 9899381
* অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: [https://www.vfsglobal.com](https://www.vfsglobal.com)
✅ উপসংহার
পর্তুগালের মত একটি চমৎকার দেশ ভ্রমণ করতে চাইলে প্রথমেই দরকার একটি সফল ভিসা আবেদন।
আপনি যদি ধাপে ধাপে এই গাইড অনুসরণ করেন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যথাযথভাবে প্রস্তুত রাখেন, তাহলে আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়বে।
পর্তুগালের মত একটি চমৎকার দেশ ভ্রমণ করতে চাইলে প্রথমেই দরকার একটি সফল ভিসা আবেদন।
আপনি যদি ধাপে ধাপে এই গাইড অনুসরণ করেন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যথাযথভাবে প্রস্তুত রাখেন, তাহলে আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়বে।
**ভ্রমণ হোক আনন্দের, প্রস্তুতি হোক নিখুঁত — পর্তুগাল আপনাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত!** 🇵🇹✈️
🤔 কিছু সাধারণ প্রশ্ন (FAQ)
❓ ভিসা রিজেক্ট হলে কী করব?আপনার রিজেকশনের কারণ জানিয়ে পুনরায় আবেদন করতে পারবেন।
❓ কিভাবে কভার লেটার লিখবো?
কেন পর্তুগালে যেতে চান, কবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কী করবেন — এসব বিষয় মানবিকভাবে ও স্পষ্টভাবে লিখুন।
❓ পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে একসাথে আবেদন করা যাবে?
হ্যাঁ, একসাথে আবেদন করা যায়। সবার ডকুমেন্টস আলাদা আলাদা হলেও, একটি গ্রুপ অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া যায়।
❓ ইন্টারভিউ কি বাধ্যতামূলক?
সাধারণত VFS তে শুধু বায়োমেট্রিক নেওয়া হয়, তবে দূতাবাস চাইলে আপনাকে ইন্টারভিউতে ডাকতে পারে।