Type Here to Get Search Results !

চর্ম রোগ একজিমাঃ পরীক্ষা ও রিপোর্টে কী থাকে। বিস্তারিত

🔬 চর্ম রোগ একজিমাঃ পরীক্ষা ও রিপোর্টে কী থাকে। বিস্তারিত 

একজিমা-রোগে-কী-কী-পরীক্ষা-হয়-ও-রিপোর্টে-কী-থাকে-বিস্তারিত


একজিমা (Eczema) হলো একটি দীর্ঘমেয়াদী ত্বকের প্রদাহজনিত রোগ, যার ফলে ত্বকে চুলকানি, লালচে ভাব, ফুসকুড়ি, শুষ্কতা ও মাঝে মাঝে ফাটল বা পানিপড়া দেখা দেয়। এটি একটি নন-সংক্রামক (non-infectious) ত্বকের সমস্যা, যা সাধারণত শিশু বয়সে শুরু হলেও যেকোনো বয়সেই হতে পারে।চিকিৎসাবিজ্ঞানে একজিমার সবচেয়ে সাধারণ ধরনকে বলা হয় অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস (Atopic Dermatitis)

একজিমা (Eczema) শুধু চোখে দেখা লক্ষণ দিয়েই নির্ণয় করা হয় না। অনেক সময় এর পেছনে থাকে অন্যান্য অ্যালার্জিক বা ইমিউন সিস্টেম সম্পর্কিত জটিলতা। তাই সঠিক চিকিৎসার জন্য কিছু পরীক্ষা (Tests) করানো হয়, যা রোগের ধরন, কারণ ও পরবর্তী চিকিৎসা নির্ধারণে সহায়ক।

এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব একজিমা নির্ণয়ে করানো পরীক্ষাগুলো এবং সেগুলোর রিপোর্টে কী কী পাওয়া যায়।

 🩺 একজিমা নির্ণয়ে সাধারণত যেসব পরীক্ষা করা হয়:

১. চর্ম পরীক্ষা (Skin Examination)

* প্রথম ধাপে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ রোগীর ত্বক ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেন।
* ত্বকের কোন অংশে র‍্যাশ, চুলকানি, শুষ্কতা বা ফাটল আছে তা দেখে রোগ নির্ণয় করা হয়।

 ২. 🧪 Allergy Test (Allergen Testing)

একজিমা অনেক সময় অ্যালার্জির কারণে হয়। সেক্ষেত্রে নিচের পরীক্ষাগুলো করানো হতে পারে:

 A. Skin Prick Test (SPT)

* ত্বকে সম্ভাব্য অ্যালার্জেন (যেমনঃ ধুলাবালি, ফুলের পরাগ, খাবার ইত্যাদি) দিয়ে সামান্য চামড়া ফুটিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখা হয়।
* যদি লাল হয়ে ফুলে যায়, তবে সেটি সংশ্লিষ্ট অ্যালার্জির ইঙ্গিত দেয়।

B. Patch Test

* পিঠের চামড়ায় বিভিন্ন অ্যালার্জেন লাগিয়ে ৪৮-৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করা হয়।
* এটি মূলত **কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস** শনাক্ত করতে সহায়ক।

৩. 🩸 IgE Blood Test (ইমিউনোগ্লোবুলিন ই টেস্ট)

* এই টেস্টে রক্তে IgE (Immunoglobulin E) এর পরিমাণ নির্ণয় করা হয়।
* একজিমা রোগীদের শরীরে IgE-এর পরিমাণ সাধারণত বেশি থাকে।

📄 রিপোর্টে কী পাওয়া যায়?

* Elevated IgE level (স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি)
* Allergy profile – কোন বস্তুতে বেশি অ্যালার্জি আছে তা শনাক্ত হয়।

 ৪. 🔬 CBC (Complete Blood Count)

* শরীরে কোনো ইনফেকশন আছে কি না, কিংবা ইনফ্ল্যামেশন রয়েছে কি না তা বোঝার জন্য এই পরীক্ষা করা হয়।
* ইোসিনোফিল (Eosinophil) নামক একটি সাদা রক্তকণিকা একজিমায় বেড়ে যেতে পারে।

📄 রিপোর্টে লক্ষণীয়:

* Increased eosinophils
* অন্যান্য রক্তকণিকা স্বাভাবিক

 ৫. 🧫 Skin Biopsy (প্রয়োজনে)

* একজিমা যদি দীর্ঘমেয়াদী হয়, এবং অন্য রোগের সম্ভাবনা থেকে থাকে, তবে ত্বকের সামান্য অংশ নিয়ে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়।
* এটি সোরিয়াসিস, ছত্রাকজনিত রোগ, স্ক্যাবিস ইত্যাদির সঙ্গে বিভ্রান্তি এড়াতে সাহায্য করে।

📊 রিপোর্টে কী ধরণের তথ্য পাওয়া যায়?

পরীক্ষার নাম                   রিপোর্টে যা দেখা যায়                      এর গুরুত্ব                           
 IgE টেস্ট                        IgE লেভেল উচ্চ                            অ্যালার্জিক একজিমা বোঝায়             
 CBC টেস্ট                     Eosinophil count বেশি                     শরীরের অ্যালার্জি প্রবণতা দেখায়      
 Skin Prick Test              লাল হয়ে ফুলে যাওয়া                     কোন বস্তুতে অ্যালার্জি আছে বোঝায়     
Patch Test                     নির্দিষ্ট অ্যালার্জেনের প্রতি প্রতিক্রিয়া  কনট্যাক্ট একজিমা শনাক্ত              
 Skin Biopsy           কোষের গঠন ও প্রদাহ দেখা হয়                একজিমার ধরন নিশ্চিত করতে সাহায্য করে |

⚠️ কখন পরীক্ষা করানো জরুরি?

* একজিমা দীর্ঘস্থায়ী হলে
* ঘনঘন রিল্যাপস হলে
* কোনো নির্দিষ্ট বস্তু বা খাবারের প্রতি অ্যালার্জি সন্দেহ হলে
* অন্য ত্বকের রোগের সঙ্গে বিভ্রান্তি থাকলে

 ✅ উপসংহার

একজিমা রোগ নির্ণয়ের
জন্য শুধুমাত্র ত্বক দেখা যথেষ্ট নয়—প্রয়োজনে বিভিন্ন পরীক্ষা করানো জরুরি হয়। এসব পরীক্ষার মাধ্যমে রোগের ধরন, কারণ এবং চিকিৎসার দিক নির্ধারণ করা সম্ভব হয়। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসাই একজিমা নিয়ন্ত্রণের মূল চাবিকাঠি।

💚স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। 

💚💚💚💚💚💚💚💚💚💚💚
একজিমা পরীক্ষা, eczema test in Bengali, allergy test eczema, IgE test, skin prick test বাংলা, একজিমা রিপোর্ট কেমন হয়, চর্মরোগ পরীক্ষা, একজিমার চিকিৎসা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.