অ্যান্ড্রয়েডের ইতিহাস: প্রযুক্তির বিকাশ ও স্মার্টফোন যুগের এক বিপ্লব
স্মার্টফোন যুগের এক যুগান্তকারী সফটওয়্যার।আজকের বিশ্বে স্মার্টফোন আমাদের জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর স্মার্টফোনের অন্যতম প্রাণস্পন্দন হলো অপারেটিং সিস্টেম, যার মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড সবচেয়ে জনপ্রিয়। কিন্তু কি ভাবে অ্যান্ড্রয়েড বিকশিত হলো? কাদের অবদানে এ সফটওয়্যার এত বড় সফলতা পেল?এই আর্টিকেলে আমি আমার অভিজ্ঞতা ও গবেষণার আলোকে অ্যান্ড্রয়েডের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস তুলে ধরছি, যা আপনাকে এই প্রযুক্তির গভীরে নিয়ে যাবে।
💚 অ্যান্ড্রয়েড কি?
অ্যান্ড্রয়েড হলো একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম, যা গুগল তৈরি করেছে। এটি স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, স্মার্টওয়াচ এবং অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ৮০ শতাংশ স্মার্টফোন বিশ্বব্যাপী এই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে।💚 অ্যান্ড্রয়েডের সূচনা ও প্রতিষ্ঠা
২০০৩ সালের যাত্রা শুরু: Android Inc.২০০৩ সালে, অ্যান্ড্রয়েড নামক একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন অ্যান্ডি রুবিন রিক স্টোন এবং নাইক শার্ক। তাদের উদ্দেশ্য ছিল একটি উন্নত এবং সহজলভ্য মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা।
তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ডিজিটাল ক্যামেরা, তবে পরে তারা মোবাইল ফোনের জন্য সফটওয়্যার ডেভেলপ করতে শুরু করে।
২০০৫ সালে গুগল অধিগ্রহণ
২০০৫ সালে গুগল Android Inc. কে কিনে নেয়। এরপর গুগলের সম্পূর্ণ সহযোগিতায় অ্যান্ড্রয়েডের উন্নয়ন হয় দ্রুতগতিতে। গুগলের মালিকানায় অ্যান্ড্রয়েড এখন ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রকাশ পায়।
২০০৫ সালে গুগল Android Inc. কে কিনে নেয়। এরপর গুগলের সম্পূর্ণ সহযোগিতায় অ্যান্ড্রয়েডের উন্নয়ন হয় দ্রুতগতিতে। গুগলের মালিকানায় অ্যান্ড্রয়েড এখন ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রকাশ পায়।
💚 অ্যান্ড্রয়েডের বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
২০০৭ সালে অ্যান্ড্রয়েড ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্স (OHA) গঠন২০০৮ সালে সর্ব প্রথম HTC Dream অ্যান্ড্রয়েড ফোন বাজারে প্রবেশ করে।
২০১০ সালে অ্যান্ড্রয়েড ২.২ ‘ফ্রোজেন ইয়োগার্ট’ এবং ২.৩ ‘জিঙ্গারব্রেড’ প্রকাশ |
২০১২ সালে অ্যান্ড্রয়েড ৪.১ ‘জেলি বিন’ মুক্তি
সালে ২০১৫ অ্যান্ড্রয়েড ৬.০ ‘মার্শমেলো’
২০১৯ সালে অ্যান্ড্রয়েড ১০ মুক্তি, নামকরণ সংস্কৃতি পরিবর্তন
২০২১ সালে অ্যান্ড্রয়েড ১২ এবং উন্নত প্রাইভেসি ফিচার
২০১২ সালে অ্যান্ড্রয়েড ৪.১ ‘জেলি বিন’ মুক্তি
সালে ২০১৫ অ্যান্ড্রয়েড ৬.০ ‘মার্শমেলো’
২০১৯ সালে অ্যান্ড্রয়েড ১০ মুক্তি, নামকরণ সংস্কৃতি পরিবর্তন
২০২১ সালে অ্যান্ড্রয়েড ১২ এবং উন্নত প্রাইভেসি ফিচার
💚 অ্যান্ড্রয়েডের নামকরণ পদ্ধতি
প্রথম থেকে অ্যান্ড্রয়েডের প্রতিটি ভার্সনকে মিষ্টির নাম দিয়ে ডাকা হতো—যেমন কেক, ললি পপ, জেলি বিন। তবে ২০১৯ সাল থেকে গুগল শুধুমাত্র নাম্বার ভিত্তিক সংস্করণ চালু করেছে, যেমন অ্যান্ড্রয়েড ১০, ১১, ১২।আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা
২০০৯ সালে আমি প্রথমবার HTC Desire ফোন পেয়েছিলাম। তখন অ্যান্ড্রয়েড ২.২ ব্যবহার করছিলাম। সেই সময়কার স্মার্টফোনের গতিশীলতা ও কাস্টমাইজেবিলিটি দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম। প্রতিনিয়ত নতুন অ্যাপ ইন্সটল করে, থিম পরিবর্তন করে, নিজের ফোনটা কাস্টমাইজ করাটা ছিল একদম নতুন অভিজ্ঞতা।
২০০৯ সালে আমি প্রথমবার HTC Desire ফোন পেয়েছিলাম। তখন অ্যান্ড্রয়েড ২.২ ব্যবহার করছিলাম। সেই সময়কার স্মার্টফোনের গতিশীলতা ও কাস্টমাইজেবিলিটি দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম। প্রতিনিয়ত নতুন অ্যাপ ইন্সটল করে, থিম পরিবর্তন করে, নিজের ফোনটা কাস্টমাইজ করাটা ছিল একদম নতুন অভিজ্ঞতা।
💚 অ্যান্ড্রয়েডের জনপ্রিয়তা ও প্রভাব
* বাজার আধিপত্য: বর্তমানে বিশ্বের ৭০% স্মার্টফোনে অ্যান্ড্রয়েড চলে।* বিভিন্ন ব্র্যান্ডে ব্যবহার: স্যামসাং, হুয়াওয়ে, শাওমি, ওয়ানপ্লাস সহ শত শত ব্র্যান্ড ব্যবহার করে।
* অ্যাপ ইকোসিস্টেম: গুগল প্লে স্টোরে লাখ লাখ অ্যাপের বিশাল ভাণ্ডার।
* স্মার্ট ডিভাইস এক্সপ্যানশন: টিভি, ঘড়ি, গাড়ির ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেমেও অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার।
* খরচে সাশ্রয়ী: বিভিন্ন দামে স্মার্টফোনে পাওয়া যায়, যা ব্যবহারকারীদের জন্য সুবিধাজনক।
💚 প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য
* ওপেন সোর্স কোড: ডেভেলপাররা সহজে সফটওয়্যার কাস্টমাইজ করতে পারে।* মাল্টি-টাস্কিং সুবিধা
* গুগল সার্ভিস ইন্টিগ্রেশন
* নতুন আপডেট ও নিরাপত্তা প্যাচ নিয়মিত পাওয়া যায়
* ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট ও AI ফিচারস
উপসংহার
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম প্রযুক্তি ও বাজারে এক বিপ্লব। তার ওপেন সোর্স নীতি, ব্যবহারবান্ধবতা, বহুমুখিতা এবং ক্রমাগত উন্নতির মাধ্যমে এটি বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের জীবন সহজ করেছে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষাক্ষেত্র সবখানেই অ্যান্ড্রয়েডের প্রভাব চোখে পড়ার মতো। ভবিষ্যতেও এটি আরও নতুন মাত্রায় বিকশিত হবে।
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম প্রযুক্তি ও বাজারে এক বিপ্লব। তার ওপেন সোর্স নীতি, ব্যবহারবান্ধবতা, বহুমুখিতা এবং ক্রমাগত উন্নতির মাধ্যমে এটি বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের জীবন সহজ করেছে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষাক্ষেত্র সবখানেই অ্যান্ড্রয়েডের প্রভাব চোখে পড়ার মতো। ভবিষ্যতেও এটি আরও নতুন মাত্রায় বিকশিত হবে।